December 23, 2024, 8:46 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
তারা দুজনেই ছিলেন খোকসার শোমসপুরের গর্বিত পিতা-মাতা। দীর্ঘ জীবনে সফল মানুষ ছিলেন তারা। সফল ছিলেন নিজেরদের জীবনে ; পরিবার ও সমাজে। মানবতা ও মহানুভবতায় ছিলেন অনুকরণীয়। নিজেদের জীবনের মতোই নিজেদের সন্তানদের সঠিক নির্দেশনা দিয়ে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করে নিজেরাই হয়ে উঠেছিলেন আলোকিত। তারা দুইজনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। সামান্য ব্যবধান নিয়ে খুব কাছাকাছি সময়ে তাদের এই চলে যাওয়া। তারা হলেন তোফাজ্জেল হক ও সাজেদা বেগম।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকুরীর সুবাদে তোফাজ্জেল হককে সবাই গার্ড সাহেব হিসেবেই চিনতেন। চাকুরী শেষে অবসর জীন-যাপন করছিলেন। দৈনন্দিন জীবনে অসম্ভব পরপোকারী মানুষ ছিলেন তিনি। সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা তার সাথে মিশে ছিল একাকার হয়ে।
অন্যদিকে তার দীর্ঘ জীবনে তার পরিচয় ছাপিয়ে তার সন্তানেরাও এখন অনেক উঁচুতে। ইতোমধ্যে দেশ দশে তারা পরিচিত। তারা হলেন ঢাকা বারডেমের কর্মকর্তা ও খোকসা উপজেলা সমিতি, ঢাকার সভাপতি বিশিষ্ট সংগঠক আহসানুল হক নবাব, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সহ-সভাপতি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, খোকসার শোমসপুরের আবু তালেব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রায়হানুল হক সুলতান ও নিউজ ২৪ ফোরের বার্তা প্রধান বোরহানুল হক সম্রাট।
পারিবারিক সূত্র জানায় হঠাৎ ২৭ জুন তারা দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তোফাজ্জেল হক ভর্তি হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর সাজেদা বেগমকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর পুলিশ লাইনস হাসপতালে।
সেখানেই গত বৃহস্পতিবার সাজেদা বেগমের ইন্তেকাল ঘটে। অন্যদিকে রবিবার ভোরে চলে যান তোফাজ্জেল হক। তোফাজ্জেল হকের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। অন্যদিকে সাজেদা বেগমের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাদের দুজনকেই খোকসার শোমসপুরে সমাহিত করা হয়েছে।
এই মৃত্যুতে দৈনিক কুষ্টিয়া ও দ্য কুষ্টিয়া টাইমস পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
Leave a Reply